empty
 
 
23.12.2024 07:15 AM
২৩ ডিসেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

শুক্রবার দিনভর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে। সকালে কোন উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট না থাকা সত্ত্বেও, ট্রেডিং শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউরোর মূল্য বাড়তে শুরু করে। উপরের চার্টে দেখা যাচ্ছে যে, শুক্রবারে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টটি প্রায় বুধবার সন্ধ্যায় হওয়া দরপতনের সমান হলেও, এর পেছনে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের কোন ভূমিকা ছিল না।

আমরা এই মুভমেন্টকে অযৌক্তিক এবং সম্পূর্ণরূপে টেকনিক্যাল কারণে হয়েছে বলে মনে করি। মূল্য তৃতীয়বারের মতো 1.0359 লেভেলের কাছাকাছি আসে, তবে এটি ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়। একইভাবে, 1.0451 লেভেল এখন একটি সিলিং হিসেবে কাজ করছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করছে। যদি মূল্য এই রেজিস্ট্যান্সের নিচে থাকে, তবে এটি আগামী সপ্তাহে 1.0359 লেভেল ব্রেকের আরেকটি চেষ্টা করতে পারে। যেমনটি আগেই উল্লেখ করেছি, আমরা এখনও মনে করি যে মার্কিন ডলারের শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা বজায় রয়েছে।

শুক্রবার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনগুলো ছিল PCE ইনডেক্স এবং ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে প্রকাশিত কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স। তবে, কোন প্রতিবেদনের ফলাফলই ডলারের প্রায় 100 পিপস দরপতন ঘটানোর মত ছিল না।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

5-মিনিট টাইমফ্রেমে শুক্রবার 1.0334-1.0359 এরিয়ার কাছাকাছি একটি কার্যকর বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যদিও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী এই মুভমেন্টের পেছনে কোন যৌক্তিকতা ছিল না। তবুও, নতুন ট্রেডাররা এই সিগন্যালের ভিত্তিতে ট্রেড করতে পারত এবং দিনের শেষে মূল্য 1.0433-1.0451 এরিয়ায় পৌঁছে গেলে মুনাফা গ্রহণ করা যেত।

সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ার প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে একটি রেঞ্জের মধ্যে ট্রেড করছিল। তবে, FOMC-এর বৈঠকের ফলাফল মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং ফ্ল্যাট মুভমেন্টের অবসান ঘটায়। আমরা মনে করি যে ইউরোর দরপতন পুনরায় শুরু হবে। আসন্ন ছুটির সপ্তাহগুলোতে মার্কেটে নতুন করে ফ্ল্যাট বা কারেকটিভ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।

সোমবার এই পেয়ারের মূল্য 1.0451 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করতে পারে এবং শুক্রবারের অযৌক্তিক বৃদ্ধি কারেকশন করে 1.0359 এ ফিরে আসতে পারে। তাই, 1.0433-1.0451 এরিয়ায় গঠিত সেল সিগন্যালগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।

5-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য লেভেলগুলো হল: 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851, 1.0888-1.0896। সোমবার ইউরোজোন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার প্রত্যাশা করা হচ্ছে এবং সম্ভবত শুধুমাত্র টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর নির্ভর করে ট্রেডিং করা হবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.