empty
 
 
09.01.2025 08:20 AM
৯ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য কেবল নিম্নমুখীই হয়নি; এটি উল্লেখযোগ্য দরপতনের সম্মুখীন হয়েছে। EUR/USD পেয়ারের তুলনায় GBP/USD পেয়ারের মূল্যের এই মুভমেন্টের পেছনে আরও কম স্থানীয় প্রভাবক ছিল। তবে, মধ্যমেয়াদে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আমরা নিয়মিতভাবে মৌলিক প্রবন্ধগুলোতে মধ্যমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করি। গত ছয় মাস ধরে ইউরো এবং পাউন্ডের দরপতনের কারণগুলো অপরিবর্তিত রয়েছে। সুতরাং, কারও কাছে গতকালের মুভমেন্ট অস্বাভাবিক বা অযৌক্তিক মনে হতে পারে, কিন্তু বাস্তবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ADP প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশের পরেও মার্কিন ডলারের ক্রেতারা নিরুৎসাহিত হয়নি। ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য সর্বশেষ স্থানীয় নিম্ন লেভেল ব্রেক করে ফেলেছে এবং এখন পর্যন্ত এমন কোনো স্পষ্ট রিবাউন্ড দেখা যায়নি যা স্থিতিশীলতার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে আজও পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে তিনটি শক্তিশালী সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। প্রথম সিগন্যালটি 1.2445 লেভেলের আশেপাশে দেখা যায়, যার পর পেয়ারটির মূল্য 100 পিপসেরও বেশি কমে যায়। এরপরে, মূল্য 1.2372-1.2387 রেঞ্জটি ব্রেক করে ফেলে এবং পরে একই এরিয়ায় রিবাউন্ড করে। ফলস্বরূপ, নতুন ট্রেডাররা যেকোনো সময় তাদের শর্ট পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে পারত বা এটি হোল্ড করে রাখতে পারত, কারণ এখনো 1.2310 লেভেলের দিকে আরও দরপতনের অনেক বেশি সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য নতুন বছরের ফ্ল্যাট রেঞ্জ থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় নিম্নমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করেছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণ সমর্থন করছি, কারণ আমরা মনে করি এটিই সবচেয়ে যৌক্তিক দৃশ্যপট। তাই, এই পেয়ারের মূল্যের ক্রমাগত নিম্নমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা উচিত, এবং সবসময় টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর নির্ভর করা উচিত।

বৃহস্পতিবার, GBP/USD পেয়ারের দুই দিন আগে শুরু হওয়া দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ বর্তমানে সেল সিগন্যাল গঠিত হচ্ছে। আজকের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ হবে না বলে আশা করা হচ্ছে।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলগুলো হলো: 1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, এবং 1.2980-1.2993। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো উল্লেখযোগ্য বা গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। ফলে, আজ এই পেয়ারের মূল্যের সীমিত ও দুর্বল মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, আমরা মনে করি পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা এই কারেন্সি বিক্রি করতে খুব বেশি উদ্দীপনার প্রয়োজন অনুভব করছে না।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.